সরকারের পতনের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে -লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান

খোন্দকার কাওছার হোসেন : সরকারের পতনের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত কোনো কিছুই টিকে থাকতে পারে না। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে হৃদয়ে বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন আয়োজিত ‘আওয়ামী দু:শাসনের আড়াই বছর: বিপন্ন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হৃদয়ে বাংলাদেশের সভাপতি মেজর (অব.) হানিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, ব্যারিস্টার মুহাম্মদ হায়দার আলী, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বন ও পরিবেশ সম্পাদক কর্নেল (অব.) শাহজাহান মিলন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি অধ্যক্ষ সোহবার উদ্দিন, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোতুর্জা প্রমুখ।

জেনারেল মাহবুবুর বলেন, বিপন্ন গণতন্ত্র, বিপন্ন মানবতা, বিপন্ন অর্থনীতি, আজকে বিপন্ন সবকিছু। সরকারের ব্যর্থতা এখন চতুর্দিকে। তিনটি মুল স্তম্ভের ওপরে দেশ দাড়িয়ে থাকে। সংসদ, প্রশাসন ও বিচার বিভাগ এই তিনটি মুল স্তম্ভের উপর আঘাত করা হয়েছে। এরপর দেশ ও জাতি থাকতে পারে না। সংবিধান ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করা হয়েছে। এর সবচেয়ে বড় বলি হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা।

এখন জনগণ আর সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। এ অবস্থায় দলীয় সরকারের অধীনে যে সুস্থ নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না এটা পাগলেও বুঝতে পারে।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের অনেক সমস্যা আছে। জনগণ আশা করেছিলো মনমোহন সিং এর সফরে এগুলোর সমাধান হবে। কিন্তু দেখা গেলো কোনো সমস্যারই সমাধান হলো না। ছিটমহল গুলোর মানুষ এখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে।

তিনি বলেন, একথা শুনে খুবই দু:খ পেলাম যে, বিএসএফ প্রধান যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বললেন, বর্ডারে হত্যা করা হচ্ছে না, এটা মৃত্যু। এখন তারা বলছে যৌথভাবে বর্ডার ম্যানেজমেন্ট করবে। এটা কিভাবে সম্ভব। যারা আমাদেরকে হত্যা করছে। তাদের সঙ্গে যৌথ ম্যানেজমেন্ট কিভাবে হবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনারা যাই বলেন আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে।  

তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে পটুয়াখালীতে ২৭ হত্যাকা- হয়েছিলো। পরবর্তীতে ওই হত্যাকান্ডে জড়িতদের ফাঁসির আদেশ হলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৩২ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তারা এখন পটুয়াখালীতে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তিনি বলেন, পটুয়াখালীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ক্ষেতের ধান, গরু-ছাগল, পুকুরের মাছ, ঘরের মালামাল এমনকি বড় গাছও আওয়ামী লীগের লোকেরা নিয়ে যাচ্ছে। আলতাফ চৌধুরী বলেন, যারা এসব লুটপাটের সঙ্গে জড়িত তাদের তালিকা করে রাখা হচ্ছে। সময় এলে তাদের বিচার হবে।