অপরাধীদের আতংক বিসিসি’র কাউন্সিলর মর্তুজা আবেদীন

আহমেদ জালাল, বরিশাল ॥ অপরাধীদের আতংক বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মর্তুজা আবেদীন। তিনি নগরীর ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিন বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে তিনি হ্যাট্রিক করেছেন। তার জনপ্রিয়তা এতই তুঙ্গে যে, একবার নিজে নির্বাচনী এলাকায় অনুপস্থিত থেকেও ব্যাপক ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে সক্ষম হন। এলাকায় তার শত্রু তারাই যারা নানাবিধ অন্যায় অপকর্মের সঙ্গে সম্পূক্ত। কারন এই প্রকৃতির লোকজনের বিতর্কিত কর্মকান্ড প্রতিহত করতে লড়ে যাচ্ছেন মর্তুজা আবেদীন।

ছাত্রজীবনে বামপন্থী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া  মর্তুজা আবেদীন রাজনীতিতে বেশ সাংগঠনিক ও স্বচ্ছভাবে সংগঠনমুখী। অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদী। এক্ষেত্রে কারো সঙ্গে তিনি আপোষ করছেন না। ৮০’র দশকে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সম্পূক্ত হন মর্তূজা আবেদীন। এক সময়ে বরিশালে জাপার রাজনীতিতে ছিলেন ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তবে জাপা সরকারের শাসনামলে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের কোন যৌক্তিক অভিযোগ নেই। বর্তমানে এখানকার জাপার রাজনীতিতে তিনি তিক্ত বিরক্ত। কারন বরিশালে জাপার রাজনীতিতে একাই সব গলদকরনের চেষ্টা করে আসছেন মহসিন উল ইসলাম হাবুল। আবার তাকে জাপা মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার শেল্টার দিচ্ছেন বলে রাজনীতির ময়দানে কথা চালু রয়েছে। এজন্য বেশ কয়েক বছরেও এখানে জাপার কোন কাউন্সিল হচ্ছে না। বিশেষ করে মহসিন উল ইসলাম হাবুলের অসাংগঠনিক কর্মকান্ডে জাপার পরিধি ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। জাপার নিবেদিত নেতা-কর্মীরা নিরবে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। সাংগঠনিকভাবে রয়েছে নিরব। সংগঠনের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী আ’লীগ ও বিএনপিতেও যোগদান করেছে। অর্থাৎ বরিশালে জাপার রাজনীতিতে অগনতান্ত্রিক পন্থার বিরুদ্ধে মর্তূজা আবেদীন স্বোচ্ছার। জাপার এরকম বিশূঙ্খল পরিস্থিতিতে রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন মর্তূজা আবেদীন।

১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম কমিশনার নির্বাচিত হন মর্তুজা আবেদীন। এরপর ২০০৩ সাল কমিশনার ও ২০০৮ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এলাকার শান্তিপূর্ন নারী-পুরুষের অভিমত জনপ্রতিনিধিত্বে অ্যাড. মর্তুজা আবেদীনের বিকল্প নেই। তিনি এলাকার শান্তিপূর্ন নারী-পুরুষের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিনত হয়েছেন। কাউন্সিলর মর্তুজা আবেদীনের বক্তব্য সমাজের খারাপ প্রকৃতির লোকজনই তার শত্রু। এরা তাকে বেশ কয়েক বার হত্যার চেষ্টাও চালিয়েছে। তিনি চান সমাজের সকল অন্যায় অনিয়ম ভেস্তে দিয়ে নতুন সমাজ বির্নিমান করতে।