এর নামই কি দিনবদল?

আনিসুল হকঃ বিগত নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল দিনবদলের। তার আগের মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোটের দুঃশাসন, দলীয়করণ, হাওয়াভবনীকরণ, জঙ্গিতোষণে অতিষ্ঠ মানুষ যখন মুক্তির উপায় হিসেবে নির্বাচনের দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিল, তখন ভোটের ফল পাল্টে দেওয়ার নকশা আঁকা হচ্ছিল নানাভাবে, দেশে প্রবর্তিত হয়েছিল এক নতুন ইঞ্জিনিয়ারিংবিদ্যা—ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, মানুষ ভোট দিয়ে সরকার বাছাই করবে, এই অধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। তারপর এল জরুরি অবস্থা, এল ফখরুদ্দীনের সরকার। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এল ভোট। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করলেন এক নতুন স্বপ্নে, সে স্বপ্ন দিনবদলের। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সাড়ে ৩৩ মাসের মাথায় প্রশ্ন উঠেছে, এর নামই কি দিনবদল?

নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর ৩১ ডিসেম্বর ২০০৮ শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করেছিলেন। তাতেও তিনি শুনিয়েছিলেন অনেক আশার বাণী, যেসব বাস্তবায়িত হলে এই দেশ সত্যিকার অর্থেই বদলে যেতে শুরু করতে পারত।

তিনি বলেছিলেন বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নেওয়ার কথা। বলেছিলেন, প্রশাসনে নিয়োগ-পদোন্নতির ভিত্তি হবে দক্ষতা যোগ্যতা, দলীয় পরিচয় নয়। বলেছিলেন, জিনিসপাতির দাম কমানো, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধ, দুর্নীতি কমানো, বিদ্যুৎ-পরিস্থিতির উন্নতি হবে তাঁর নতুন সরকারের অগ্রাধিকার। বলেছিলেন, প্রতিশোধ নয়, ক্ষমতার অপব্যবহার নয়, বলেছিলেন বিরোধী দলকে সংখ্যা দিয়ে বিচার করা হবে না। ৩৩ মাস কাটল, কেউ কথা রাখেনি। কোথায় সংসদে বিরোধী দলের ডেপুটি স্পিকার? বরং সংসদে বিরোধী দল অনুপস্থিত। জিনিসপাতির দাম বেড়েছে, বিশ্বপরিস্থিতি আভাস দিচ্ছে, আরও বাড়বে। ডেইলি স্টার পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত ইনাম আহমেদের লেখা পড়ে বুঝলাম, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে সরকার তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে, ফলে তেল আমদানি করতে হচ্ছে বেশি করে। যত তেল দরকার তা নাকি রাখার ক্ষমতাও আমাদের নেই, আর সেই তেল আমদানি করতে গিয়ে খরচ করতে হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা, ফলে দেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে পৃথিবীব্যাপী অশনিসংকেত, খনিজ তেলের বিকল্প হিসেবে খাদ্যকণা থেকে তেল উৎপাদন করতে গিয়ে খাদ্যসংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে। দলীয়করণ কমেনি, বরং বেড়েছে। ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের দৌরাত্ম্য লাগামছাড়া। মিছিলে না যাওয়ার অপরাধে নখ তুলে ফেলার খবর এই দেশে আমাদের পড়তে হচ্ছে! গডফাদার হিসেবে যারা বিপুল খ্যাতি অতীতে অর্জন করেছিল, তারা ফিরে এসেছে; এলাকায় এলাকায় নতুন নতুন গডফাদার তৈরি হচ্ছে, যাদের ভয়ে বাঘে-মহিষে এক ঘাটে জল খেতে বাধ্য হচ্ছে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কেউ আর টুঁ শব্দটি করে না। বিএনপির আমলে আকবর হোসেন এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি দাতা দেশ ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করেছিল। লজ্জায় আমাদের মাথা কাটা গিয়েছিল। আমরা খুবই জোরেশোরে নিন্দামন্দ করেছিলাম। এবার বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নিয়ে একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কমিশন দাবির অভিযোগ তুলে ঋণ আটকে দিয়েছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে একজন হোসেন মিয়ার কথা আমরা পড়েছি। এবার একজন হোসেন মিয়ার জন্য দেশের মানসম্মান তো গেলই, পদ্মার ওপরে আমাদের সেতুও বুঝি বেদনার বালুচরে হারিয়ে যায়। তবু পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলছেন, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি। শুনে কাঁদব নাকি হাসব! সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও টিভি-সাংবাদিক আশফাক চৌধুরী মিশুকের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে যখন দেখা গেল মহাসড়কগুলোর করুণ অবস্থা, বাসমালিকেরা বাসসেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন, তখন জনগণের একাংশ দাবি তুলেছিল, যোগাযোগমন্ত্রী পদত্যাগ করুন। পদত্যাগ হতে পারে একটা প্রতীকী ব্যবস্থা। সরকার যে জেগে আছে, জনগণের দুঃখ-দুর্দশার সঙ্গে তারা যে একাত্ম, তার একটা ছোট্ট প্রমাণ। কিন্তু কে শোনে কার কথা? তখন পদত্যাগ করলে মান বাঁচত, এখন পদত্যাগ করেও আর মান বাঁচানো যাবে বলে মনে হয় না। বিশ্বব্যাংক নাকি বলে দিয়েছে, এই ভদ্রলোক মন্ত্রী থাকলে তারা টাকা দেবে না। আমরা আর কত ছোট হব? একই কথা শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি বিষয়ে বলা যায়। যাঁদের বিরুদ্ধে শেয়ার মার্কেটে নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। এমনকি তাঁদের মাথার ওপর থেকে সরকারের উচ্চ মহলের রঙিন ছাতার আরামদায়ক ছায়াটা সরানো হয়নি। বরং তাঁরাই শীর্ষ ব্যক্তিদের পাশে বহাল তবিয়তে হাসিমুখে বসে ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছেন। এ সবই ভুল সংকেত দেয়। আজকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা রাজপথে অনশনে বসেছেন। কতটা অসহায় হলে একজন মানুষ না খেয়ে মরার কর্মসূচি দিয়ে রাস্তায় নামতে পারে!

পদ্মা নদীর মাঝির হোসেন মিয়া কিসসা ফুরোয়নি, এর মধ্যে আবার চলছে মেট্রোরেলের রুট বিতর্ক। এই বাংলাদেশে যদি গর্ব করার মতো কোনো স্থাপনা থেকে থাকে, তার নাম জাতীয় সংসদ ভবন। লুই আই কানের স্বপ্নের প্রকল্প ছিল এই জাতীয় সংসদ ভবন। এটা এক অনবদ্য স্থাপত্যকীর্তি, আমাদের গণতন্ত্রের প্রতীক। এখন আমাদের সামনে প্রশ্ন, আমরা জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরের নকশা বদলাব, নাকি বিমানবাহিনীর আপত্তিকে গুরুত্ব দেব। আমাদের দেশে কোনো সিদ্ধান্তের জন্য বিশেষজ্ঞ জ্ঞান, গবেষণা, জরিপ, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দরকার পড়ে না। যাঁর হাতে ক্ষমতা আছে, তিনি নিজ হাতে কলম দিয়ে একটি আঁচড় কেটে দিলে সেটাই চূড়ান্ত নকশা বলে গৃহীত হতে বাধ্য। দেখা যাক কী হয়। চমৎকারই হবে, চমৎকার সে হতেই হবে, হুজুরের মতে অমত কার?

এই যখন বর্তমান, তখন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আশায় আশায় বুক বেঁধে রাখি। আমি এখনো বিশ্বাস করি, আর ১৫ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হবে, ১০ বছরের মধ্যে ঢাকা শহরের চেহারা পাল্টে যাবে। আমরা মোটামুটি একটা উন্নত দেশে পরিণত হব। বাংলাদেশের মানুষের অপরিসীম সৃজনশক্তি, পরিশ্রম করার অসীম ক্ষমতা, প্রবাসী জনশক্তি এবং গণতন্ত্র আমার এই আশার ভিত্তি।

কিন্তু সেই আশাবাদের সৌধের ভিত্তি থেকে মাটি সরে যাচ্ছে ক্রমাগত। স্বপ্ন পরিণত হচ্ছে দুঃস্বপ্নে। ফখরুদ্দীন ও মইনউদ্দিনের সরকারের আমলে দেশের রাজনীতির একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। দুই নেত্রীকে অপসারণের অপ্রয়োজনীয় ও অবাস্তব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার মতো বামপন্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিএনপির মূল নেতৃত্ব থেকে দূরবর্তী করা হয়েছে। বিএনপি এখন পরিণত হয়েছে জামায়াতি-পাকিস্তানপন্থীদের আস্তানায়। আওয়ামী লীগেও যোগ্যতর রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে শেখ হাসিনার দূরত্ব তৈরি হয়েছে। শেখ হাসিনা তাঁর নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন, এমন কাউকেই আর আস্থায় নেবেন না। উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া তথ্য থেকে আমরা জানি, দিলীপ বড়ুয়াকে মন্ত্রী করা হয়েছে এই যোগ্যতা থেকে যে তিনি কখনোই উচ্চাভিলাষী হবেন না। উইকিলিকস থেকেই জানা যাচ্ছে, মন্ত্রী নির্বাচনে আরেকটি বিষয় শেখ হাসিনা বিবেচনায় নিয়েছিলেন, তা হলো, তিনি তাঁদেরকে নিয়েছেন, যাঁরা দুর্নীতি করা শেখেনি। এটা অবশ্যই একটা সুবিবেচনা। কিন্তু দুর্নীতি করার জন্য দুর্নীতি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ট্রেনিং নিয়ে আসতে হয় না, সেটা আমরা হাড়ে হাড়ে বুঝছি। বোঝার ওপরে শাকের আঁটি হয়েছে অনেক মন্ত্রীর অযোগ্যতা। মন্ত্রীদের অনেকেই কাজের নন বলে প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও মন্ত্রিসভার কোনো রদবদল নেই। সরকারের কানে কিছুই যাচ্ছে না। বকো আর ঝকো, কানে দিয়েছি তুলো; মারো আর ধরো, পিঠে বেঁধেছি তুলো। সরকার খুব বেশি এককেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারিও প্রধানমন্ত্রীকে ধমক দিয়ে থামাতে হয়, মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ সামলাতে পারে না, আবার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে, সেই সিদ্ধান্তও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হয়ে আসে। একা একজন মানুষের পক্ষে এত কিছু দেখা কি মানবিকভাবে সম্ভব?

ফলে আমাদের বর্তমান নিয়ে হা-হুতাশ করা ছাড়া আমরা আর কী-ই বা করতে পারি। আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন তো আমাদের দেখে যেতেই হবে। কিন্তু মনে হচ্ছে, যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ। আগামী আড়াই বছর তো রাজপথে মারামারি হানাহানি করেই কাটবে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে, কোনোই কারণ নেই। শেখ হাসিনার তাতে কোনো অসুবিধা নেই, সংশোধিত সংবিধানে তাঁকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে না। তারপর কী হবে? একটা সম্ভাবনা হলো, জাতীয় পার্টিকে দিয়ে নির্বাচন করানো, তাকে প্রধান বিরোধী দল বানানো। হয়তো বিএনপি ভাঙার চেষ্টাও হবে। এত কিছু না করে প্রধানমন্ত্রী গত পরশুর জনসভায় যে কথাটি বলেছেন, সেটাকে সূত্র ধরেই কিন্তু আওয়ামী লীগ এগোতে পারত। শেখ হাসিনা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলেই যে ক্ষমতায় আসতে পারবেন, তার গ্যারান্টি কী? শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার যদি তার নির্বাচনী ইশতেহার মন দিয়ে আরেকবার পড়ে, নির্বাচনের পরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য যদি আরেকবার নীতি হিসেবে গ্রহণ করে, তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়েও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসতে হয়তো পারত। কিন্তু দেশ অনিবার্যভাবে সংঘাতের দিকে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের মানুষের সমস্যা হলো, আওয়ামী লীগের বিকল্প হলো বিএনপি-জামায়াত। বেগম জিয়া যখন নতুন নেতৃত্বের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন, তখন মানুষ হাততালি না দিয়ে মুখ শুকিয়ে ফেলেছে, কারা আসবেন এরপর? বেগম জিয়া গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজের রাজনৈতিক যোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছেন। শেখ হাসিনাও দশকের পর দশক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতায় নিজেকে ঋদ্ধ করেছেন। কিন্তু আজ থেকে ১০ বছর পর যখন প্রাকৃতিক নিয়মেই তাঁদের অবসর নিতে হবে, যেমনটা নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে জ্যোতি বসু, তখন এই দেশের কী হবে? ফুলের মালা কার গলায় পরাব? আমরা ঘরপোড়া গরু, আমরা যে সিঁদুরে মেঘ দেখলেও ভয় পাই!

দুঃস্বপ্ন আজ তাড়া করে ফিরছে। গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই, গণতন্ত্রের বিকল্প হলো আরও গণতন্ত্র। সবচেয়ে খারাপ গণতন্ত্রও সবচেয়ে ভালো স্বৈরতন্ত্রের চেয়ে ভালো। গণতন্ত্র থাকলে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকলে আমাদের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে, এই একমাত্র আশার ভেলা আঁকড়ে ধরে আছি। কিন্তু সুবচন আজ নির্বাসনে, কাকের কর্কশ স্বর বড় বিষ হয়ে কানে লাগছে। বেগম জিয়া পূজা নিয়ে, ধর্মপরিচয় নিয়ে যা বলেছেন, সেটা কেবল সাম্প্রদায়িক বক্তব্যই নয়, অত্যন্ত আপত্তিকর। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখে একেবারেই বেমানান। তার জবাবে প্রধানমন্ত্রীর মুখের অর্গল খুলে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ২০০৮-এর নির্বাচনে আপনার মহাজোট যে এত ভালো করেছিল, তার একটা কারণ ওই সময় আপনি হীরণ্ময় বাকসংযম দেখিয়েছিলেন। আপনার সেই হীরণ্ময় সংযম আবার ফিরে আসুক। সকল দায়িত্বশীল নেতা-নেত্রী, কর্মকর্তাকে বলি, দোহাই তোদের, একটুকু চুপ কর…ভালো (বস) বাসিবারে দে আমারে অবসর।