উত্তপ্ত জেলখানা মোড়!!!

শাহীন হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি ॥ অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বরিশাল জেলখানা এলাকার মোটর সাইকেল ড্রাইভাররা। সভাপতি বনাম সম্পাদক দ্বন্দ্বে সেখানকার শ্রমিকরা রীতিমত দিশেহারা। সিলেক্টেড সভাপতি খোকন ওরফে কালা খোকনের বিরুদ্ধাচরণ করছে সেখানকার সম্পাদক মাহমুদের গ্র“প। অপরদিকে খোকনের দাবি সংগঠন সম্পর্কে জ্ঞানহীন মাহামুদকে দিয়ে সংগঠন চালানো সম্ভব নয়। তবে মাহামুদ বলছে কৌশলে খোকন সেখানে চাঁদাবাজির ফাঁদ পেতেছে। সিরিয়ালের নামে প্রতিদিন ২শ’ শ্রমিকদের কাছ থেকে ৫ টাকা হারে কম বেশি ৫/৬শ’ টাকা উত্তোলন করছে। পাশাপাশি তার দাবি টুল নির্মাণের নামে আইডি কার্ড বাবদ এবং নতুন মোটর সাইকেল ড্রাইভারদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছে কালা খোকন ও তার সহযোগীরা। তার সহযোগীদের তালিকায় রয়েছে জাকির, সবুজ ও রফিক। সম্পাদক মাহামুদের দাবি- তাদের মোটর সাইকেল সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি কাশেম, প্রচার সম্পাদক মাহাদুল ইসলাম, কবির গাজী সহ বেশিরভাগ শ্রমিকরা খোকনের এই জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চায়।

অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গেলে পাওয়া যায় কিছুটা ব্যতিক্রমী চিত্র। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ড্রাইভার লিটন সহ ৩/৪ জন বলেন, খোকনের অবদান অস্বীকার করার মত নয়, সংগঠনের ভাল করার জন্য আমি চেষ্টার কোন ঘাটতি করিনি। ৭/৮ বছর যাবৎ খোকন সংগঠনটি ধরে রেখেছিল। তবে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে আজ প্রায় ২০ দিন পর্যন্ত খোকন সংগঠনের কোন খোঁজ খবর রাখেনি বলেও জানান তারা। এ বিষয়ে খোকনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রথম সংগঠনটিকে আমি দেখেছি। আমার সম্পাদক মাহামুদ সংগঠনের করণীয় সম্পর্কে তেমন একটা পারদর্শী নয়। যে কারণে সংগঠনটিকে দাঁড় করানো সম্ভব হচ্ছে না। খোকন আরো বলেন, তিনি খুব শীঘ্রই সবাইকে ডেকে সভা করবেন। এতে সম্পাদককে ছাটাইও করা হতে পারে। ড্রাইভারদের সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কয়েকদিন পর পরই যাত্রী সিরিয়াল নিয়ে ড্রাইভারদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ এমনকি হাতাহাতি হয়। এ কারণে একজন লোক সেখানে প্রতিদিন সিরিয়াল রক্ষা করার জন্য রাখা হয়। এ কারণে গাড়ি প্রতি ৫ টাকা করে উত্তোলন করা হয়। এতে যদি চাঁদাবাজি করা হয় তবে লেখেন ভাই আমি লাখ টাকা চাঁদাবাজি করি। খোকন জানান, তার ইচ্ছা ড্রাইভারদের জন্য ১টি ফান্ড তৈরি করার। যেখানে ড্রাইভারদের কোন রকম দুর্ঘটনা ঘটলে সমিতি সহায়তা দেবে।