নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ ভোলার লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের চতুর্থ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে লালমোহন পুলিশ হারুন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্র জানায়, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পার্শৃবর্তী বিল থেকে ফেরার পথে একই বাড়ির হেজন আলীর ছেলে হারুন শিশুটিকে জোর করে ধান ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চাচাতো ভাই জুয়েল এ ঘটনা দেখতে পেয়ে হারুনকে ডাক দিলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে লালমোহন থানার ওসি শীল মনি চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে হারুনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ১২। ওসি শীল মনি চাকমা জানান, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আসামী হারুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সারাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যখন ঝড় উঠেছে, ঠিক সেই সময় বিএনপির মনোগ্রামে বরিশালের গৌরনদীর বহুল আলোচিত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার, লুটার, ধর্ষণকারী ও ’৭১-র একাধিক হত্যার মূল নায়ককে বীর মুক্তিযোদ্ধা আখ্যাদিয়ে গত সোমবার গভীর রাতে উপজেলার বাটাজোরসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক পোষ্টারিং করা হয়েছে।
পোষ্টারের শেষ অংশে গৌরনদী উপজেলার ৬ নং বাটাজোর মুক্তিযোদ্ধা নতুন প্রজন্মের নাম ব্যবহার করা হলেও যুদ্ধাপরাধী সুলতান আহম্মেদ শাহউদ্দিন ওরফে শাকু ও তার পুত্র এস.এম শাহজাহানের নামসহ বিশাল ছবি রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে এ আপত্তিকর পোষ্টার দেখে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভে ফেঁটে পরেন। তারা অনতিবিলম্বে এ আপত্তিকর পোষ্টারিংয়ের জন্য যুদ্ধাপরাধীর পুত্রর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন।
বাটাজোর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হাসেম হাওলাদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ’৭১ সালে মোরা যহন দ্যাশ স্বাধীনের লাইগ্যা যুদ্ধে ঝাঁপাইয়া পরি, ঠিক ওই সময় বাটাজোর ইউনিয়নের পশ্চিম চন্দ্রহার গ্রামের সুলতান আহম্মেদ শাকু পাক সেনাদের সাথে হাত মিলায়। পরবর্তীতে ও (শাকু) গ্রামের কতিপয় লোকজন নিয়া রাজাকার বাহিনী গঠন করে বাটাজোরসহ বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের খবরা খবর গৌরনদী কলেজের পাকসেনাদের ক্যাম্পে পৌঁছাইয়া দিতো। ওইসময় রাজাকার শাকু ও তার বাহিনীর লোকজনে খুন, ধর্ষন, লুটপাটে অতিষ্ঠ করে তোলে গোটা এলাকা।
মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি বলেন, রাজাকার শাকুর হাত থেকে সেদিন (যুদ্ধ চলাকালীন সময়) রক্ষা পায়নি পূর্ব চন্দ্রহার গ্রামের পূর্ণ চন্দ্র ঘরামী ও মহেন্দ্র নাথ তালুকদার। ওই নরপশুরা তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট করে পূর্ণ চন্দ্র ঘরামী ও মহেন্দ্র নাথ তালুকদারকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। তিনি আরো জানান, দেশ স্বাধীনের পর রাজাকার শাকু নিজ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করে খুলনায় গিয়ে বসবাস শুরু করে। গত ৭ বছর পূর্বে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে নিজগ্রামে ফিরে আসে। কিছুদিন পরেই সে (রাজাকার শাকু) মারা যায়। একই ভাবে জানালেন মুক্তিযোদ্ধা ইসাহাক হাওলাদার, প্রফেসর মজিবর রহমান, কবির হাওলাদারসহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধারা। বহুল আলোচিত রাজাকারকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আখ্যায়িত করে আপত্তিকর পোষ্টারিং করার জন্য তারা অনতিবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীর পুত্রর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন।
Comments are closed.