ঢাকা-পটুয়াখালী নৌ রুটে রোটেশন পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন

বরিশাল প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালী-ঢাকা নৌ রুটে চলাচলরত লঞ্চের রোটেশন পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে ‘গ্রীন পটূয়াখালী’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচী পালিত হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবন্দ ছাড়াও সুশীল সমাজের নেতৃবন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ১০দফা দাবীর সমর্থনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ আবু মিয়া, মোঃ ফজলে আলী খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেন, গ্রীন পটুয়াখালী সংগঠনের পক্ষে মোঃ তৌফিক আলী খান কবির, ১০ নং কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তানভীর আহমেদ।

১০দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে, রোটেশনের নামে নৌপথে সিন্ডিকেড বাতিল, নিরাপদ নৌ-পথ, অগ্রিম বুকিং এর সমঅধিকার নিশ্চিত করা, সকল যাত্রীর লাইফ ইন্সুলেন্স কভারের ব্যবস্থা, ডেক যাত্রীদের ভাড়া কমানো, লোহালিয়া নদীর ড্রেজিং করা, নৌ-সেবার মানোন্নয়ন করা, ছাত্রছাত্রীদের ভাড়া অর্ধেক করা, অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই বন্ধ করা, লঞ্চ সংখ্যা বৃদ্ধি করা, জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় সরঞ্চামাদির ব্যবস্থা করা।

উল্লেখ্য, পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথে ১০টি লঞ্চের রুট পারমিট থাকা সত্ত্বেও মালিকপক্ষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অধিক মুনাফার জন্য ১কোটি মানুষকে জিম্মি করে মাত্র ৬টি লঞ্চ চালনা করছে। যেকারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের কারণে ঢাকা-পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথের রুটটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পরেছে। এছাড়া ঈদ ও কোরবানির সময়সহ যেকোন সময়েই ১দিন পূর্বেও অগ্রিম টিকিট পাওয়া যায়না। ফলে লঞ্চের যাত্রা সর্বদাই অনিশ্চিত হয়ে পরে। বছরের পুরোটা সময়ই লঞ্চের কেবিনের টিকিট যেন ‘সোনার হরিন’ হয়ে যায়। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে চরম অব্যবস্থার কারণে এই রুটে যাত্রীগন অবর্ননীয় দূর্ভোগের শিকার হয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। সর্বপরি রোটেশন পদ্ধতির কারণেই পৃথিবীর অন্যতম সমূদ্র সৈকত ‘কুয়াকাটা’ ভ্রমনে দেশ-বিদেশের অতিথিদের জন্য প্রায় অসম্ভাব হয়ে পরে।