১২ মার্চ রাজধানীতে মহাসমাবেশ – বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ‘ঢাকা চলো’ কর্মসূচি ঘোষণা

খোন্দকার কাওছার হোসেন ॥ বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চট্টগ্রামের জনসভা থেকে আগামী ১২মার্চ সোমবার ঢাকায় মহাসমাবেশ এর কর্মসূচী ঘোষণা করে নেতা কর্মীদের চলো চলো ঢাকা চলো কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি ২৯ জানুয়ারী রোববার ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় ও জেলা সদরে গণমিছিল এবং ফেব্রুয়ারী মাস জুড়ে সারাদেশে গণসংযোগ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম রোডমার্চের শেষদিনে আজ সোমবার বিকালে পলোগ্রাউন্ড মাঠে ৪দলীয় জোট আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কর্মসূচী ঘোষণা করেন।

গত রোববার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়া তার গুলশান বাসভবন থেকে রওয়ানা হয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে রোডমার্চের নেতৃত্ব নেন। পথে তিনি নারায়নগঞ্জের সোনারগাও, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠ, নূর মানিকচর মাঠ, বিশ্বরোডের পদুয়া বাজারে পৃথক পথসভা ও ফেনী পাইলট হাইস্কুল মাঠের জনসভায় বক্তব্য রাখেন। রাত পৌনে ১২টায় তিনি চট্ট্রগ্রাম সার্কিট হাউসে পৌছেন। সেখানে রাত্রী যাপনের পরে তিনি গতকাল বেলা ৩টা ৫০মিনিটে তিনি মঞ্চে এসে পৌছেন। বিকাল ৪ টা ৪৪মিনিট থেকে শুরু করে ৪৫ মিনিট বক্তৃতা করে ৫টা ২৯ মিনিটে বক্তৃতা শেষ করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা এম মোর্শেদ খান, শামসুজ্জমান দুদু, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জামাতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমদ, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহম্মদ ইসহাক, এলডিপির সভাপতি কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ, কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহম্মদ ইব্রাহিম, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আব্দুল লতিফ নেজামী, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মনজুর আলম যুদ্ধাপরাধের দায়ে কারাবন্দী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদেরের স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী। জামাতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, অধ্যক্ষ মিয়া মোহাম্মদ গোলাম পারওয়ার এমপি, চট্টগ্রাম মহানগর জামাতের আমির শামসুল ইসলাম এমপি, বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুকসহ বিএনপি জোট ও সমমনা দলগুলোর কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

খালেদা জিয়া বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি কোন নির্বাচনে অংশ নেবেনা। আওয়ামী লীগ ফেয়ার ইলেকশনে ভয় পায়, ফেয়ার ইলেকশনে তারা কখনো জিততে পারেনি। তাই তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায়।

তিনি বলেন, জিয়া বাংলাদেশের সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছিলেন, কিন্তু বর্তমান সরকার ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ বাদ দিয়েছে। তিনি বলেন, তারা ধর্ম নিরপেক্ষ বললেও হিন্দুদের বাড়ি ঘর মন্দিরের জায়গা দখল করে। গির্জায় বোমা ফাটায়, জুতা পায়ে পুলিশ মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের পেটায় । তিনি প্রশ্ন করেন, এটা কোন ধরণের ধর্মনিরপেক্ষতা?

খালেদা বলেন, তারা নির্বাচনের সময় যেসব ওয়াদা করেছিল তার একটাও পুরণ করতে পারেনি। বিএনপির সময় চালের দাম ছিল ১৫/২০ টাকা কিন্তু এ সরকারের আমলে চাল, ডাল, তেলসহ সবকিছুর দাম বেড়েছে। এসরকার নির্বাচনের আগে ১০টাকা দামে চাল ও ঘরে ঘরে চাকরি দেবে বলেছিল কিন্তু দেয়নি।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে বর্তমান সরকারের কোন সম্পর্ক নেই। বিদেশ থেকে লাখ লাখ ফেরত লোক পাঠিয়ে দিচ্ছে। তারা খালি হাতে দেশে ফিরছে, তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেনি। তিনি মালয়েশিয়া থেকেও লোক ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি মন্তব্য করেন, আওয়ামী লীগের মূখে উন্নয়নের কথা শোভা পায়না।

বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বলেন, বিএনপির সময় লোডশেডিং কম ছিল এখন অনেক বেড়েছে। ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করতে পারেনা, শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারা বিনা টেন্ডারে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট করছে, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। ফার্নেস অয়েল ও গ্যাসে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তাই বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ভর্তুকির টাকা পূরণ করছে। চট্টগ্রামের মানুষ বিদ্যুৎ পায়না, অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
ভারতকে ট্রানজিট দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, তারা ভারতকে করিডোর দিয়ে দিয়েছে। যে রাস্তায় ভারতের গাড়ি চলবে সে রাস্তা খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের গাড়ি চলতে পারবেনা। তারা নাকি আগরতলা পর্যন্ত রাস্তা বানাবে ঋণ করে। ঋনের টাকা শোধ করবে ২০ বছরে।

ভারতের চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার প্রসঙ্গে বলেন, ভারত যা ইচ্ছা তা নিয়ে যেতে পারবে। আমরা বাধা দিতেও পারবোনা। ভারতকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে দিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন আমরা ক্ষমতায় গেলে চট্টগ্রাম বন্দরে আমাদের গাড়ি আগে যাবে। মালামাল আগে যাবে।

খালেদা জিয়া বলেন, ভারত বাংলাদেশের তিতাস নদীর উপর বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মান করছে। বাংলাদেশীরা প্রতিবাদ করলে তারা গুলি চালায়। তিনি ভারতকে হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, রাস্তা তৈরী বন্ধ করুন। না হয় আমরা বাধ কেটে দেবো।

বর্তমান সরকারকে ভারতের পুতুল সরকার উল্লেখ করে বলেন,ভারতীয়রা বাংলাদেশী ফালানীকে গুলী করে মেরে কাটা তারে ঘন্টার পর ঘন্টা ঝুলিয়ে রেখেছিল। সরকার তার প্রতিবাদও করতে পারেনি। টিপাইমূখ নিয়ে চুক্তি করতে পর্যন্ত পারেনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসলেও পশ্চিম বঙ্গের মূখ্য মন্ত্রীর জন্য চুক্তি হয়নি। এ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য মন্ত্রীকে খুশি করার জন্য ইলিশ মাছ, শাড়ি নিয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাই সমমর্যাদার ভিত্তিতে, মাথা উচু করে। ভারত সব নিয়ে যাবে, আমরা কিছুই পাবোনা তা হয়না।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বলেন, আপনারা জাতীয় পার্টি আর জামাতের সঙ্গে নির্বাচনে গিয়েছিলেন। কিন্তু এখন জামাতকে যুদ্ধাপরাধী বলেন। তিনি আরো বলেন গত ৩৬ বছরে আপনারা ২০লাখ মানুষ মেরেছেন, সিরাজ শিকদারকে হত্যা করেছেন তারও বিচার হবে।

খালেদা জিয়া যুব সমাজকে শিক্ষায় দীক্ষায় উন্নত করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমাদের সঙ্গে  থাকুন। আমরা বেকারত্ব দূর করবো। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবো।

দেশ এবং চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, দেশে যত উন্নয়ন হয়েছে তা আমাদের সময় হয়েছে। পদ্মাসেতু নিয়ে দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে ২টি পদ্মা সেতু করবো। তিনি চট্টগ্রামেরও সব উন্নয়ন তাদের সময় হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, তখন তাদের এক মেয়র ছিল তিনি এটা করতে দেবেন না, ওটা করতে দেবেন না বলতেন। কিন্তু তাদের সরকার চট্টগ্রামের জন্য কিছুই করতে পারেনি।

খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশন সংস্কারের জন্য রাস্ট্রপতির সংলাপকে সাজানো নাটক উল্লেখ করে বলেন, তারা নাকি সার্চ কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন কমিশন সংস্কার কেউ করতে পারবেনা।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এখন আর বিএনপি বা বিরোধী দলের দাবি নয় এটা এখন জনগনের দাবিতে পরিনত হয়েছে। তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হবেনা। নির্বাচন ও হতে দেয়া হবেনা।

খালেদা জিয়া বলেন, জ্বালাও পোড়াও নয় শান্তিপূর্ন আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। আওয়ামী লীগ হলো ভাওতাবাজ, মিথ্যেবাদী সরকার। এরা জনগনের সরকার নয়।

খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকার গরীর মারার সরকার, লুটেরা সরকার, খুনী সরকার। এ সরকারের আমলে গুম হচ্ছে, প্রতিদিন লাশ পাওয়া যাচ্ছে। খালেদা জিয়া বলেন, দুর্ণীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে। সরকার শুধু লুটপাট করতে পারে।

খালেদা জিয়া বলেন, স্বাধীনতার পরে ভারত বলেছিলো বাংলাদেশের নিজস্ব কোনো সেনাবাহিনী থাকবেনা। আওয়ামী লীগ সেই কারণে সেনাবাহিনী ধ্বংস করে রক্ষিবাহীনীর মতো একটি বাহিনী রাখতে চায়, এ কারনে তারা যড়যন্ত্রের মাধ্যমে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে, বিডিআর ধ্বংস করে দিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত্র ও বিচার ঠিকমতো হয়নি। আসল তদন্ত হলে তাদেরও বিচার হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সেনাসহ বিভিন্ন অফিসারদের চাকরী থেকে বিদায় করে দিয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এসব কর্মকর্তাদের আবার চাকরীতে ফিরিয়ে আনা হবে।

খালেদা জিয়া বলেন, আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি পিন্ডি থেকে মুক্ত হতে, দিল্লির গোলামীর জন্য নয়। লড়াই করেছি স্বাধীনতার জন্য। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে স্বাধীনতা থাকবেনা।
তিনি বলেন, এখানে শ্লোগান দেয়া হয়েছে, এই মূহুর্তে দরকার খালেদা জিযার সরকার কিন্ত আমি বলছি এই মূহুর্তে দরকার জনগণের সরকার।

শহরে ভয়াবহ যানজট
রোডমার্চের কারনে ঢাকাসহ অন্যান্য শহর থেকে কয়েক হাজার গাড়ীসহ ৪দলীয় জোটের লোকজন চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করার কারণে শহরে ভয়াবহ জানজটের সৃষ্টি হয়। রোডমার্চের গাড়ীসহ অসংখ্য গাড়ী ঘন্টার পর ঘন্টা জানজটে আটকে থাকে। এতে সাধারণ যাত্রীসহ অসংখ্য মানুষ দুর্বিসহ যন্ত্রনার শিকার হন।

গেট, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে ফেলা হয়েছে
চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন রাস্তায় কয়েকশত তোরন নির্মান করা হয়েছে। এছাড়া কয়েক হাজার ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে পুরো রাস্তা ছেয়ে ফেলা হয়েছে। রাস্তার ডিভাইডার নানা রংয়ের বাতি জ্বালিয়ে আলোকসজ্জা করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র এম মন্জুর আলম। জনসভা মাঠের চারিদিকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিশাল আকারের পোট্টেট দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে। এছাড়া জামাত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহম্মদ মুজাহিদ ও দেলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ আটক নেতাদের বিশাল পোট্টেট টাঙ্গিয়ে তাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।

মিছিলের নগরী চট্টগ্রাম
সকাল সাড়ে ৮টায় ইসলামী ছাত্র শিবিরের এক বিরাট মিছিল রেল ষ্টেশনের সামনের রাস্তা দিয়ে পলোগ্রাউন্ডের জনসভাস্থলে গিয়ে পৌছে। এরপরই শহরের বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে একের পর এক মিছিল এসে জনসভাস্থলে মিলিত হতে থাকে। দুপুর ১টার মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মাঠ।

২৫টি বড় স্ক্রিন টিভিতে দেখার ব্যবস্থা
জনসভা মাঠের বাইরের লোকদের বক্তব্য শোনা ও দেখার জন্য ৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে ২৫টি স্ক্রীন টিভি বসানো হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকশত মাইক লাগানো হয়েছে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে।

জনসভা জনসমুদ্রে পরিনত
পলোগ্রাউন্ড মাঠ দুপুর ১২টায় কানায় কানায় পূর্ণ হওয়ার ফলে এরপরে আশপাশে লোকজন মাঠের বাইরে অবস্থান নেন। মাঠের উত্তরে সিআর বি, দক্ষিনে রেলওয়ে আবাসিক এলাকা, পুর্বে কদমতলী ও পশ্চিমে টাইগারপাশ এলাকা জনসমুদ্রে পরিনত হয়।

বিকাল ৫টা থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার বক্তব্যে বিরোধী দলের নেতা সরকারের বিভিন্ন ‘ব্যর্থতার’ কথা তুলে ধরেন। চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভায় ভাষণ দেয়ার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগীয় রোডমার্চ শেষ হলো। রাতে খালেদা জিয়া ঢাকার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ছেড়ে যান।