চলতি বছরেই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে -আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ মহান মুক্তিযুদ্ধের মুজিব বাহিনীর কমান্ডার, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ, বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ গৌরনদী ডট কম-এর সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে বলেছেন, চলতি বছর (২০১২ সনের) মধ্যেই শীর্ষ যুদ্ধপরাধীদের বিচার করা হবে। এ জন্য খুব দ্রুত আরো একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সনে যারা মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি, হত্যা ও লুটপাট করেছে ধর্মীয় দৃষ্টিতে তাদের বিচার করা ফরজ এবং ঈমানি দায়িত্ব। কোনো অবস্থাতেই তাদের ছেড়ে দেয়া যায় না। এটা ধর্মের নির্দেশ। যারা বিচারকে বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধেও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জামায়াত নেতা গোলাম আযমের “বয়স বিবেচ্য নয়-অপরাধ বিবেচ্য বিষয়”। তিনি আদালতের এমন আদেশকে ঐতিহাসিক আদেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। এ আদেশের মাধ্যমে দেশের মানুষের স্বস্তি এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, গোলাম আযমের গ্রেফতার নিয়ে জামায়াত এখনও প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। যদি তাদের লজ্জা থাকে, তবে তারা প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। পার্বত্য শান্তি চুক্তির প্রণেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ আরো  বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সনে কলেবরেটর অ্যাক্ট করে ৭৩টি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ২২ জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ, ৫৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৭৫২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছিলেন। ১১ হাজার ২’শ জন কারাগারে ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে তাদের রাজবন্দী হিসেবে মুক্তি দিয়ে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। কাজেই “বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের সাধারণ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন” একথা বলে এখন বিভ্রান্ত করার আর কোনো সুযোগ নেই।