সবকারী গৌরনদী কলেজে ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ॥ হামলা-ভাংচুর ॥ ৫টি কক্ষে তালা

সরকারী গৌরনদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ কুতুব উদ্দিন আইবেক জানান, কলেজে চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেনীতে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের গত ১০ জুন ফরম সংগ্রহের শেষ দিন ছিল। এ সময় কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য ৯ ’শ ৬৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন ফরম সংগ্রহ করে। তিনি আরো জানান, এ বছর মানবিক, বানিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগে ৪ ’শ ৫০ টি কোঠায় মেধার ভিত্তিতে নোটিশ বোর্ডে ভর্তি যোগ্যদের তালিকা গত ১৭ জুন প্রকাশ করা হয়। ভর্তি শুরু হলে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় কলেজে ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে একাধিকবার কলেজ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করে। এসময় বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা কলেজের শ্রেনী কক্ষ, পাঠাগার, অধ্যক্ষ ও অফিস কক্ষে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। হামলায় কলেজের দরজা, জানলাসহ আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ কুতুব উদ্দিন আইবেক শিক্ষকদের নিয়ে তার অফিস কক্ষে তাৎক্ষনিকভাবে জরুরি সভায় বসলে বিক্ষুব্ধরা সেখানে পুনঃরায় হামলা চালিয়ে তাদের কক্ষ তালাবদ্ধ করে প্রায় দেড় ঘন্টা অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন অব্যাহত রাখে। খবর পেয়ে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা ভেঙ্গে দেড় ঘন্টাপর অবরুদ্ধদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান, আসাদুল হক, আনোয়ার হোসেন, জানে আলমসহ অনেকেই বলেন, আমরা ভর্তির জন্য একমাত্র এ কলেজ থেকেই ফরম সংগ্রহ করেছি। কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি পূর্বেই গ্রেড নির্ধারন করে ফরম বিক্রি করত তাহলে আমরা অন্য কলেজে ভর্তির ফরম সংগ্রহ করে ভর্তি হতাম। কোঠা বৃদ্ধি করে তাদের ভর্তির সুযোগ দেয়ার জন্য তারা দাবি জানান। এ প্রসংঙ্গে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর কুতুব উদ্দিন আইবেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি হামলা ভাংচুর ও অবরুদ্ধ হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ভর্তির কোঠা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে গত ৩ জুন আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব খালেদ হোসেন গত ১৭ জুন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের মতামত চেয়ে একটি চিঠি প্রদান করেছেন। এখনো আমরা, কোঠা বৃদ্ধির কোন আদেশ পাইনি। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া অতিরিক্ত ভর্তির কোন সুযোগ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম বিক্ষোভ মিছিল, অবরুদ্ধ, হামলা ও ভাংচুরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।