হামলা চালিয়ে বিএনপির ১০ জন নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। এসময় গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডস্থ বিএনপির দলীয় অফিসে হামলা চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা।
বরিশাল জেলা উত্তর যুবদলের সাধারন সম্পাদক ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউজ্জামান মিন্টু জানান, কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের জন্য বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে রবিবার দুপুর দুইটার দিকে তারা দলীয় কার্যালয়ে সভা করেন। সভায় মিন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন গৌরনদী পৌর বিএনপির সভাপতি এস.এম মনির-উজ জামান মনির। সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিলের জন্য তারা দলীয় কার্যালয়ের সম্মুখে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে প্রস্তুতি নেয়ার সময় আকস্মিক ভাবে গৌরনদী থানার এ.এস.আই বাবুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করেন। মিন্টু আরো অভিযোগ করেন, পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে তাদের সাথে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরাও লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচীতে উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় বদিউজ্জামান মিন্টু, এস.এম মনির-উজ জামান মনির, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মাসুদ হাসান মিটু, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া, শ্রমিক দলের নেতা ফজলুল হক প্যাদা, যুবদল নেতা এম.এ গফুর, দেলোয়ার হোসেন, ছাত্রদল নেতা সিহাব উদ্দিন খোকনসহ কমপক্ষে ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। এ ব্যাপারে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখলে পুলিশ তাদের মহাসড়ক অবরোধ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এসময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর উল্টো চড়াও হয়।