চারদলীয় জোটের সমর্থকদের ওপর হামলা

প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন-অর রশীদ খানের সমর্থকদের ওপর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হামলা ও ভাংচুরের তান্ডব চালানো হয়েছে। ক্যাডারদের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে প্রচারনার মাইক ও ভ্যানগাড়িটি। বিভিন্নস্থান থেকে উপরে ফেলা হয়েছে পোস্টার। হামলায় আহতরা হলো সমর্থক কালাম (৪০),আলমগীর হোসেন (৩০) ও ভ্যান চালক মোস্তফা (৩৮)। আহতদের গুরুতর অবস্থায় মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া অপর এক হামলায় এক সাংবাদিককে মারধর করেছে আওয়ামীলীগের ক্যাডাররা। এর আগে বুধবার রাতেও বিএনপি প্রার্থীর প্রচারনায় মাইক ভাংচুর ও সমর্থকদের মারধর করা হয়।

জানা গেছে, মুলাদী পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হারুন-অর রশীদ খানের নির্বাচনী প্রচারনায় বিভিন্নস্থানে বাঁধা প্রদান করে আসছে আওয়ামীলীগের প্রার্থী শফিকুজ্জামান রুবেল ও জাপা প্রার্থী শুক্কুর আহমেদ খানের ক্যাডাররা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ভ্যানযোগে পৌর শহরের রাস্তার মাথা নামক স্থানে বিএনপি প্রার্থীর প্রচারনা চালাচ্ছিল। ওই সময়ে আওয়ামীলীগের ক্যাডাররা বিএনপির সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে প্রচারনার মাইকটি ভেঙ্গে ফেলে। ভ্যানটিও ভাংচুর করা হয়। সমর্থকদের বেদম মারধর করা হয়। বিশেষ করে লাকড়ি (জ্বালানী কাঠ) দিয়ে পিটিয়ে বিএনপির সমর্থক কালামের পা ভেঙ্গে দিয়েছে ক্যাডাররা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে। হামলাকারীদের মধ্যে রয়েছে যুবলীগ নেতা জাফর মল্লিক ও ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম তালুকদার। অপরদিকে দুপুর ২টার দিকে পৌর নির্বাচনী সংবাদ প্রকাশের জের ধরে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর ক্যাডাররা সাংবাদিক কবির হোসেন খানকে সেল ফোনে দেখে নেয়ার হুমকী দিয়েছে। কবির খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বুধবার রাতে মাইক ভাংচুরের ঘটনার সংবাদ প্রকাশ হওয়ার জের ধরে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি বৃহস্পতিবার  দুপুরে তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।

বিএনপির প্রার্থী হারুন-অর রশীদ খান বলেন, নির্বাচনে আমার মাঠের চিত্র ভাল হওয়ায় ইশ্বান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর ক্যাডাররা বিভিন্ন স্থানে আমার নির্বাচনী প্রচারনায় বাঁধা প্রদান করছে। মারধর করা হচ্ছে আমার সমর্থককে। হুমকী ধামকী দিয়ে বলছে বিএনপি প্রার্থীর কোন এজেন্ট কেন্দ্রে থাকতে দিবে না। তিনি আরো বলেন, ভোটাররা বর্তমানে আতংকে রয়েছে। এজন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে এখানে সেনা মোতায়েন জরুরী। মুলাদী থানা বিএনপি’র সহসভাপতি আব্দুস ছত্তার খান জানান, বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচরনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ভোটারদের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। এমনকি বিএনপি প্রার্থীর পোস্টারও উপরে ফেলা হয়েছে। এ অবস্থায় এখানে সেনা মোতায়েন ব্যতীত সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়। উপজেলা রির্টানিং অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার বিষয়টির অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী শফিকুজ্জামান রুবেল জানিয়েছে, বিএনপি প্রার্থীর প্রচারনায় বাঁধা কিংবা হামলার ঘটনার সঙ্গে তার সমর্থিত কেউ সম্পৃক্ত নেই। যারা এরকম ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেন।