জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে আরো এক নির্যাতিতা রুমা

গত ২জুন পারিবারিক কলহের কারনে রুমার শরীরে গরম পানি ঢেলে দেয় পাষন্ড স্বামী। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেল হসপিটালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। শরীরে ৮০ভাগই পুড়ে গেছে রুমার। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রুমা মুখ ফুটে বলতেই চাচ্ছে না যে তার স্বামী তাকে এভাবে অত্যাচার করেছে। জিজ্ঞেস করায় রুমা জানায়, ভুলে গরম পানি পরে এমন হয়েছে কিন্তু সত্য কথাটি অনেক পরে বের হয়ে আসে। বিয়ের পর তাদের ঘরে ফুটফুটে কন্যা সন্তান আসে। এই সন্তানই রুমার কাল হয়ে দাড়ায়। সন্তান আসার পর থেকেই প্রতি নিয়ত রুমাকে অত্যাচার করতো পাষন্ড স্বামী হারুন-অর-রশিদ।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে নোয়াখালীর বসুরহাটের হারুন-অর-রশিদের সাথে বিয়ে হয় হালিমা ইয়াসমিন রুমার। রুমা নিজের মেয়ের কথা ভেবে, সংসার টিকানোর কথা ভেবে কিছুই বলেনি। সয়ে গেছে দিনে পর দিন স্বামীর অত্যাচার।

 নোয়াখালির কোন্পনিগঞ্জ থানায় একটা মামলা করা হয়েছে এই ব্যাপারে। স্বামী বর্তমানে পলাতক।

সুন্দর এই পৃথিবীতে আর কতো রুমানা, রুমাদেরকে নির্মমভাবে অত্যাচার সহ্য করে মৃত্যুবরন করতে হবে? আর কত বোন এভাবে মুখ লুকিয়ে কাঁদবে? কি এমন দোষ করেছিল যে তার গায়ে হাত তুলতে হবে, তাকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করতে হবে। একটি মেয়ে মা-বাবা, ভাই-বোনদের দুরে রেখে চলে আসে স্বামী নামক একজনের ঘরে। যেখানে সে থাকবে নিরাপত্তা বলয়ে, সে মেয়ে তার স্বামীর কাছে গচ্ছিত, যেন কোনো ক্ষতি না হয়। একচুল পরিমান কষ্ট যেন অনুভব না করে। আর সেখানে সমাজের এসব বর্বরেরা কি করে যাচ্ছে। রিক্সাওয়ালার ঘর থেকে শুরু করে সমাজের উচু শ্রেনীর মাঝে রুমানা ও রুমারা ভাল নেই। জীবন চলে যাবে। নারী নির্যাতনের জন্য আমরা মিছিল, মিটিং, সভা, সেমিনার করবো। ধুয়া উড়ানো ভাষন হবে, একদিন মিছিলকারীদের মিছিল শেষ হবে, মানববন্ধনকারীরা বন্ধন ছিড়ে চলে যাবে যার যার বাড়ী, টিভি ক্যামেরা লাইট বন্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু থামবেনা রুমানা বা রুমাদের ওপর পাশবিক, মানবিক নির্যাতন। 

বর্তমানে রুমার অবস্থা দেখুন-

 

এই সেই বর্বর, পাষন্ড স্বামী (বর্তমানে পলাতক, আসুন একে ধরিয়ে দিন)-

 

আমরা চাই এসব বর্বরদের শাস্তি হোক। এমন শাস্তি হোক সকলের জন্য যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।

 

ভাল থাকুক রুমানারা, ভাল থাকুক রুমারা।

 

ফাহিম মুরশেদ, গৌরনদী ডটকম