জাতীয় ওলামা পার্টির কেন্দ্রীয় মহাসচিবের প্রতারণা – বরগুনার ৩৫ জন হজ্বে যেতে পারছেনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা ॥ জাতীয় ওলামা পার্টির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা কেএম হাসানের প্রতারণার শিকার হয়ে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতিসহ ৩৫ জন হজ্বে যেতে পারছেনা। এসব মুসুল্লীদের কাছ থেকে ৫০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভন্ড মাওলানা অভিনব কৌশলে তাদেরকে হাজী ক্যাম্পে রেখে স্ত্রীকে নিয়ে হজ্বে চলে গেছে। এব্যাপারে মতিঝিল থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার বাদী পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট মজিবুর রহমান জানান, মাওলানা কেএম হাসানের বাড়ি ভোলা জেলায়। তার মামা বাড়ি বামনা উপজেলায়। তিনি নিজেকে জাতীয় ওলামা পার্টির কেন্দ্রীয় মহাসচিব পরিচয় দিয়ে পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী উপজেলায় জাতীয় পার্টি ও ওলামা পার্টির অফিস করে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বরগুনা-২ আসন থেকে প্রার্থী হবেন বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। চলাচল করেন দামী গাড়িতে। প্রতারিতরা অভিযোগ করেন, তিনি চলতি বছরে হজ্বে নেবার নামে এডভোকেট মজিবুর রহমান, অধ্যাপক আবুল কালাম, আবদুল হাকিম, রফিকুল ইসলাম, শিহাব উদ্দিন, হারুন অর রশিদ, আবদুল আউয়াল মাষ্টার, হাতেম আলী, হাফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, আবদুল বারেক মিয়া, আমজাদ হোসেন, সুলতান আহম্মেদ, এমএ মান্নান, নজরুল ইসলাম, ঈসা নাজির, হাবিবুর রহমান, মাওলানা জাকারিয়া, আলআমিন, খলিলুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, ডাঃ আবদুল মান্নান, হাফেজ নুরুল আলম ও ইদ্রিস আলী খানসহ ৩৫ জনের কাছ থেকে ৫০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা নিয়েছেন। তারা আরো জানান, ২১ অক্টোবর তাদেরকে নিয়ে ঢাকা গিয়ে হাজী ক্যাম্পে বসিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে অবিনব কৌশলে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে হজ্বে চলে যায়। কয়েকজনকে ব্যাংকের চেক দিয়ে যায়। কিন্তু তার ব্যাংকের হিসাব নম্বরে কোন টাকা নেই।

এব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট মজিবুর রহমান বাদী হয়ে জাতীয় ওলামা পার্টির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা কেএম হাসান, বরগুনা জেলা জাতীয় ওলামা পার্টির সভাপতি হাফেজ মাওলানা বনি আমিন, পাথরঘাটা উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পাথরঘাটা পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি খলিলুর রহমান ও পাথরঘাটা উপজেলা জাতীয় ওলামা পার্টির সভাপতি মাওলানা আবু ছালেহকে আসামী করে ৩০ অক্টোবর মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।