দৃশ্যমান কিছু দেখতে চাই যা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে -যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

মাহ্ফুজ ইসলাম শিপলু, দাউদকান্দি ॥ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সেতু, মেঘনা সেতু, দাউদকান্দি মেঘনা-গোমতী সেতু এ ৩ সেতু আমি পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেছি। ৩ সেতুর মধ্যে মেঘনা সেতু সবচেয়ে বিপদজনক মরন ফাঁদ, যে কোন সময় এ সেতু ধসে যেতে পারে। ১ মাসের মধ্যে মেঘনা নদীতে ফেরীর ব্যাবস্থা করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। ৫শ টনের বেশি অতিরিক্ত যানবাহন গুলো ফেরী দিয়ে চলাচল করবে। আজ শনিবার সকালে নোয়াখালী থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে দাউদকান্দির টোল প্লাজা অফিস কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময় যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মেরামতের আগে ওভারলোড গাড়ি সেতুর ওপর দিয়ে চলতে দেওয়া যাবে না। লোড ও ওভারলোডের কারনে সেতু গুলো ঝুকিপূর্ণ হয়েছে। সেতু রক্ষা করার জন্য যা যা করনীয় তা পালন করতে ও ওভারলোড মাপার জন্য ওজন স্কেলের মেশিন ২/৩ দিনের মধ্যে বসানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। দৃশ্যমান কিছু দেখতে চাই যা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। হাতে সময় কম কাজ বেশি, তাই চ্যালেঞ্জ নিয়েছি জনগণের দূর্ভোগের কারনগুলো দূর করে জনগণকে স্বস্থি দেওয়া আমার কাজ।

তিনি বলেন, জনগণ টোল দিয়ে চলাচল করে আমি যোগাযোগ মন্ত্রী নিজেও টোল দেই। মহাসড়ক দেশের সম্পদ জনগণের সম্পদ তাই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ভি.আই.পি ব্যক্তি সহ সবাইকে টোল পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করেন। মন্ত্রী ৪ লেনের কাজ মন্তর গতিতে চলার জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মতবিনিময় সভায় অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালাণী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মে.জে. (অব.) সুবিদ আলী ভূইয়া এমপি, সড়ক ও জনপথের প্রধান প্রকৌশলী আঃ কুদ্দুস, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক রেজাউল আহসান, কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান, হাইওয়ে ডি আই জি হুমায়ুন, হাইওয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার কামাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি দাস, দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ারুল নাসের ও দাউদকান্দিতে কর্মরত সকল সাংবাদিকবৃন্দ।