বরিশালে সংবাদকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ জন আহত

গতকাল রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিক এ ঘটনার প্রতিবাদে শতাধিক সংবাদকর্মীরা বরিশাল নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রতিবাদ সমাবেশে করেছেন।

বরিশালে সংবাদকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ জন আহতবরিশাল প্রেসক্লাবের সদস্য কাজী মিরাজ জানান, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবিব কামালের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিলে গতকাল রবিবার দুপুরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন আহসান হাবিব কামাল। নির্ধারিত সময়ের পূর্বে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ও আমর্ড পুলিশ প্রেসক্লাবের প্রবেশপথসহ আশপাশের এলাকা ঘিরে রাখেন। একটি মাইক্রোবাসযোগে আহসান হাবিব কামাল, এবায়দুল হক চাঁন, এডভোকেট নজরুল ইসলাম রাজন ও শামীমা আকবর প্রেসক্লাবে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। এ সময় প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক লিটন বাসার, সিনিয়র সদস্য নুরুল আলম ফরিদসহ অন্যান্য সংবাদ কর্মীরা পুলিশের কাছে প্রেসক্লাবে প্রবেশে বাঁধা দেয়ার কারন জানতে চায়। কোন কিছু না বলেই কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি জাহাঙ্গীর হোসেনের নির্দেশে পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশ সংবাদকর্মীদের এলোপাথারি পেটাতে শুরু করে। পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জে সাংবাদিক লিটন বাশার, জিয়া শাহীন, সাইফ আমিন, গিয়াসউদ্দিন সুমন, তুষার আরেফিন, মোঃ মোফাজ্জেল, রাইসুল ইসলাম, অভি, ফারুক লিটু ও সাগর বৈদ্য আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক সংবাদকর্মীরা নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে প্রেসক্লাবের সম্মুখে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় পুলিশের এ কর্মকান্ডে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ডাঃ আব্দুর রহিম, ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন ও অতিউৎসাহী আলোচিত কোতয়ালী মডের থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মহিউদ্দিন শেখকে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন মীর মনিরুজ্জামান ও আকতার ফারুক শাহীনসহ অন্যান্য সংবাদকর্মীরা। ওইদিন রাতে পুলিশী হামলার প্রতিবাদে প্রেসক্লাবে জরুরী সভার আহবান করা হয়।